সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন
সঞ্জিব দাস, গলাচিপাঃ গলাচিপায় স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহৃত স্কুল ছাত্রী না পেয়ে তার মা মালতী রানী বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে মোকাম পটুয়াখালী বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের হরিদেবপুর টেকনিক্যাল সরকারি স্কুলের পূর্ব পাশে সরকারি রাস্তায়। অপহৃত স্কুল ছাত্রী অপু রানী (১৫) হচ্ছেন গোলখালী ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কেসব চন্দ্র দাস ও মালতী রানী দম্পতীর কন্যা।
মামলা সূত্রে ও মামলার বাদী অপহৃত অপু রানীর মা মালতী রানী জানান, গত (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ১০টার সময় সরস্বতী পূজা উদযাপণ শেষে অপু রানী স্কুলের দিকে রওয়ানা হলে আসামী ১। দুলাল চন্দ্র দাস (৩২) পিতাঃ কানাই দাস, ২। লিপি রানী (৫৫) স্বামীঃ মৃত কানাই দাস, ৩। পলাশ চন্দ্র দাস (২৫) পিতাঃ মৃত কেশব চন্দ্র দাস, সর্ব সাং- ছোট বিঘাই, পটুয়াখালী, ৪। শান্তি রঞ্জন দাস (৩৬) পিতাঃ মুকিন্দ্র চন্দ্র দাস, সাং- বাংলাবাজার, ডাকুয়া, গলাচিপা সংঘবদ্ধ হয়ে জোরপূর্বক একটি সাদা প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে যায়। অপহরণকারীরা এলাকার খারাপ প্রকৃতির লোক। দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। আমার মেয়ে অপু রানী হরিদেবপুর টেকনিক্যাল সরকারি স্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। ১নং আসামী দুলাল চন্দ্র দাস প্রায় সময়ই আমার মেয়ে স্কুল ও প্রাইভেটে যাওয়া আসার সময় ইভটিজিং করতো। সে মোবাইল ফোনে আমার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিত। আমার মেয়ে তার প্রস্তাবে রাজী না হয়ে বিষয়টি আমাদেরকে জানালে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মেয়েকে অপহরণ করার হুমকি দেয় এবং আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমরা মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর না পেয়ে প্রশাসনের সহযোগীতা নিতে গলাচিপা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে থানা পুলিশ আমার অভিযোগ গ্রহণ না করে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। ঘটনার ১৬ দিন অতিবাহিত হলেও এই পর্যন্ত আমার মেয়ের কোন সন্ধান পাইনি। তাই আমি বাদী হয়ে আদালতে মামল করি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গলাচিপা থানাকে এজাহার নেওয়ার নির্দেশ দেন। আমার মেয়েকে ফিরে পেতে আমি থানা পুলিশ সহ প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply